দুপুরের পর থেকেই আকাশে জমে ওঠে ঘন মেঘ। প্রথমে গুঁড়িগুঁড়ি, পরে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয় জেলার বিভিন্ন এলাকায়। অনেক স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টিরও খবর মিলেছে। এতে করে রাস্তাঘাটে খানিকটা পানি জমলেও যান চলাচলে তেমন বিঘ্ন ঘটেনি।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি দুর্বল লঘুচাপের কারণে এ বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং আগামী এক-দুইদিন এ ধরনের বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। এতে তাপমাত্রা কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৃষ্টির ছোঁয়ায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে জনজীবন। অনেককে দেখা গেছে রাস্তায় ভিজতে, কেউবা পরিবার নিয়ে ঘুরতে গেছেন সমুদ্রসৈকতে। দোকানপাটেও বেড়েছে জমজমাট উপস্থিতি।
কুয়াকাটার বাসিন্দা আবুল হোসেন রাজু বলেন, ‘এমন এক পশলা বৃষ্টি যে কতটা স্বস্তি এনে দিল, তা বলে বোঝানো যাবে না। কয়েকদিন ধরে শুধু গরম আর ঘাম। আজকে যেন প্রাণটা জুড়িয়ে গেল।’
একই অনুভূতির কথা জানান ব্যবসায়ী আব্দুল কাইয়ুমও। তিনি বলেন, ‘বিকেল বেলা এমন বৃষ্টি হলে বিক্রিও ভালো হয়। মানুষ রাস্তায় আসে, চা খায়, কিছু কিনে। বৃষ্টিতে আমাদেরও লাভ।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পটুয়াখালী কার্যালয় জানিয়েছে, এই বর্ষণের ধারা অব্যাহত থাকলে উপকূলবাসী কিছুটা হলেও গরমের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
প্রকৃতির এমন মন ভালো করা আচরণে পটুয়াখালীর মানুষের মুখে ফুটে উঠেছে হাসি। হঠাৎ পাওয়া স্বস্তির বৃষ্টি যেন হয়ে উঠেছে শান্তির বার্তা।