খোকন হাওলাদার, গৌরনদী // ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভয়াল কাল রাতে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকের নির্মম বুলেটে শহীদদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সের ছিলেন সুকান্ত বাবু সেরনিয়াবাত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি’র অতিআদরের বড় পুত্র সুকান্ত বাবু সেরনিয়াবাত।
সেইদিন ভাগ্যক্রমে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ প্রাণে বেঁচে গেলেও ঘাতকের নির্মম বুলেটে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে শহীদ হওয়া চার বছরের আদরের সন্তানের মুখটাও শেষবারের মতো দেখার সুযোগ হয়নি তার। সেই কষ্ট এখনও তাড়িয়ে ফেরে হতভাগ্য পিতা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে।
ঘাতকের নির্মম বুলেটে বড় ছেলেসহ বাবা, ভাই, বোনকে হারিয়ে সেইদিনের নির্মম ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী গুলিবিদ্ধ সহধর্মিনী সাহান আরা বেগমকে নিয়ে টানা ৪৪ বছর শোকদিবস পালন করেছেন আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। রাজনৈতিকভাবে নানা চড়াই উৎরাইয়ের সাথী সাহান আরা বেগমকে ছাড়া এখন শোক দিবস পালন করতে হচ্ছে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে। কারণ ঘাতকের নির্মম বুলেটবিদ্ধ হয়েও প্রাণে বেঁচে যাওয়া শহীদ জননী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা বেগম ২০২০ সালের ৭ জুন রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিরদিনের জন্য দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে পরপারে পারি জমিয়েছেন।
সূত্রমতে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভয়াল কাল রাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির সাথে সাথে মিন্টো রোডের ২৭ নম্বরে তার (বঙ্গবন্ধু) বোনজামাতা ও তৎকালীন পানিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বাড়িতেও হামলা চালায় ঘাতকরা। যেখানে খুনিরা নির্মমভাবে গুলি চালিয়ে হত্যা করে আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, তার ভাইয়ের ছেলে সাংবাদিক শহিদ সেরনিয়াবাত, কন্যা বেবী সেরনিয়াবাত, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু সেরনিয়াবাত এবং বরিশালের ক্রিডেন্স শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্য আব্দুর নঈম খান রিন্টুকে।
এছাড়া ঘাতকের নির্মম বুলেটে সেদিন আহত হয়েছিলেন-আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের সহধর্মিনী ও বঙ্গবন্ধুর বোন আমেনা বেগম, পুত্রবধূ সাহান আরা বেগম, কন্যা বিউটি সেরনিয়াবাত, হামিদা সেরনিয়াবাত, পুত্র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, ক্রিডেন্স শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্য খ.ম জিল্লুর রহমান, ললিত দাস, রফিকুল ইসলাম ও সৈয়দ মাহমুদ।
Leave a Reply