এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানার ওসি আলী আহমেদ মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘৩২ নম্বরে কিছু হাড়গোড় পাওয়া গেছে, এখন সেগুলো মানুষের না কি অন্য কোনো প্রাণীর, সেটি নিশ্চিত হতে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট এসে আলামত সংগ্রহ করেছে।’
আলামত সংগ্রহ শেষে সকাল সোয়া ১০টার দিকে সিআইডির টিম চলে গেছে বলে জানান ওসি মাসুদ।
উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনলাইনে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে ৩২ নম্বরের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি গুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। বাড়ির পাশেই নির্মাণাধীন ভবনে উপস্থিত হন বিক্ষুব্ধরা। সেই ভবনের কয়েকতলা বেজমেন্ট দেখতে পান তারা। তার মধ্যে দুই তলা পর্যন্ত নামতে পারলেও পরবর্তী ফ্লোরে পানি দেখা যায়। অনুমান করা হয়, নিচে আরও কয়েকটি তলা রয়েছে। তার পর কয়েকদিন ধরে এই বাড়ির বেজমেন্টের জায়গা নিয়ে চলছিল নানা আলোচনা।
সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ৩২ নম্বরের বেজমেন্টে রবিবার সকাল থেকে পানি সেচ করার কাজ করছিল ফায়ার সার্ভিস। সেচের কাজ শেষ করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন দুপুর সোয়া ১টার দিকে।
পরে উপস্থিত জনতা সেখানে হাড়সহ একাধিক সন্দেহজনক বস্তু পাওয়ার দাবি করেন। এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, শুধু হাড়ই নয়, ঘটনাস্থলে রক্তের দাগ, জুতা, মানুষের চুল এবং অন্যান্য অবশিষ্টাংশও পাওয়া গেছে। এমন দাবির প্রেক্ষিতে আজ সকাল ৮টার দিকে সিআইডির ক্রাইম সিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহে করে।