উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ মাইনুল ইসলাম খান ঘুষ বানিজ্যে মেতে ওঠে। ভূমি অফিসে প্রতিটি টেবিলে দিতে হয় ঘুষ। একটি নামজারিতে অফিসের সব টেবিল ম্যানেজ করে সর্বমোট খরচ হয় ৬/৭ হাজার টাকা। প্রতি নামজারিতে সরকারি ফি ১১৭০ টাকা কিন্তু সরকারি ফি বাদেও এসিল্যান্ডকে ঘুষ দিতে হয় ১৫ শত টাকা। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ভূমি মালিকরা। সরকারি নির্ধারিত ফি বাহিরে ঘুষ দিতে হয় ৮/১০গুণ বেশী টাকা গুনতে হয় ভূমি মালিকদের। উজিরপুর ভূমি অফিসে অবৈধ টাকা লেনদেনকে ঘিরে গড়ে উঠেছে কর্মচারী-দালাল সিন্ডিকেট। এতে কানুনগো, সার্ভেয়ার,তসিলদার, অফিস সহকারী, জারিকারক, পিয়ন সবাই কম-বেশি জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভূমি মালিকরা। এই এসিল্যান্ড এর খুটিঁর জোর কোথায় প্রশ্ন জনমনে? সুত্রে জানা যায় নাম প্রস্তাব, সার্ভেয়ার রিপোর্ট, দাখিলা, নামজারি, ডিসিআর সংগ্রহ, খাজনা দাখিল, খতিয়ান ইস্যু থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজে সরকারি নির্ধারিত ফি থেকে অতিরিক্ত ৮/১০ গুণ বেশী টাকা দিতে হয়। উজিরপুর ভূমি অফিসে বর্তমানে সেবা তো দুরের কথা,ভোগান্তির শেষ নেই। এছাড়া প্রতি নামজারিতে ৭/৮ হাজার টাকা না দিলে সময় ক্ষ্যাপন করে ভূমি অফিস। এবিষয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীরা বলছেন- আপনার ফাইল এসিলেন্ড স্যারের হাতে, স্যার সহজেই ফাইলে সাক্ষর করতেছেনা। তাতে ভূমি মালিকরা কোন উপায়ন্তর না পেয়ে নিজেই কর্মকর্তাকে আরো টাকার লোভ দিয়ে নাম জারি সম্পূর্ণ করতে চেষ্টা করে। এদিকে উজিরপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাওছার হোসেন তথ্য জানতে চাইলে তাকে বলেন আপনাদের সাংবাদিকদের স্বার্থ কোথায়? একাধিক ভূমি মালিকরা জানান ইতিপূর্বে আমরা সরকারি ফি মাত্র ১১৭০ টাকা জমা দিয়ে নামজারির কাজ করছি। কিন্ত এসিল্যান্ড মোঃ মাইনুল ইসলাম খান উজিরপুরে যোগদানের পরেই প্রতি নামজারিতে ৬/৭ হাজার টাকা গুনতে হয়।