চিঠিতে তিনি বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, চিঠিটি রোববার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছানো হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিজন কান্তি দাস চিঠি পৌঁছে দেন। ।
শায়রুল কবির বলেন, এবিএম আব্দুস সাত্তার তাকে জানিয়েছেন ম্যাডামের মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, আমরা আবেদন পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করলে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে। চলতি মাসের ২৬ তারিখ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।
দুই বছর দেড় মাস (৭৭৬ দিন) কারাভোগের পর শর্তসাপেক্ষে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় অবস্থান করছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান। রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।
একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান তিনি।
Leave a Reply