মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার করমদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গাংনী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আহত রিমি খাতুনকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, একই গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে বাদশা মিয়া (২৫) শওকত আলীর মেয়ে রিমি খাতুনকে বিয়ে করে ঘরজামাই থাকতেন। বাদশা সংসারের কাজকর্ম কিছুই করতেন না। মাঝেমধ্যে এলাকায় চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটলে বাদশার নামে অভিযোগ আসতো। এ নিয়ে স্ত্রী এবং শাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়া লেগেইে থাকতো। রিমি খাতুনকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতেন বাদশা।
সকালে বাদশাকে অন্যের জমিতে কাজে যেতে বললে শাশুড়ি ও স্ত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে শাশুড়ি রঙ্গিলা খাতুনকে এলাপাথাড়ি কোপাতে থাকেন বাদশা। এতে ঘটনাস্থলেই রঙ্গিলা খাতুনের মৃত্যু হয়। ঠেকাতে গেলে স্ত্রী রিমি খাতুনকেও মারধর করেন বাদশা। পরে রিমির চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ঘাতক বাদশা পালিয়ে যান। স্থানীয়রা রিমি খাতুনকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
গাংনী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পলাতক বাদশাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply