বুধবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, মঙ্গলবার রাতে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রূপা বেগমের নামে একটি মামলা করেন একই এলাকার মিরাজ মোল্যা নামে এক ব্যক্তি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এক ভিক্ষুকের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রূপা বেগমের স্বামী মো. হায়দার মোল্যার বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় ১৫ আগস্ট রাতে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। এরই মধ্যে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে একই অভিযোগে আরেকটি মামলা করা হলো।
এ বিষয়ে সালথা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আওলাদ হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুপা বেগম, তার ছোট ভাই মোকাদ্দেস হোসেন ও স্বামী মো. হায়দার মোল্যাকে এই মামলায় আসামি করা হয়। মামলার বাদী মিরাজ উপজেলার মাঝারদিয়া গ্রামের ইকরাম মাতুব্বরের ছেলে। রূপা বেগম ও মিরাজ একই এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সালথা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রূপা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, এলাকায় প্রতিপক্ষ মহল আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে আসছে। ঘর দেওয়ার কথা বলে আমি কারও কাছ থেকে কোনো টাকা-পয়সা নিইনি। আমার স্বামীও কারও কাছ থেকে টাকা-পয়সা নেয়নি। অভিযোগকারীরা সরকারি ঘর না পেয়ে উল্টা-পাল্টা অভিযোগ এনে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করছে।
Leave a Reply