সোমবার সন্ধ্যায় শহীদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী নিবাসের ৩১৩ নম্বর রুমে এ ঘটনা ঘটে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৯টার দিকে হলের পাঠকক্ষে প্রবেশে মুখের জায়গা দখল করে মীমের অনুসারী পড়ালেখা করছিলেন। চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী তাকে সরে বসতে বলেন। এ সময় উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মীমের অনুসারী ভুক্তভোগীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
সন্ধ্যায় আয়েশা ইসলাম মীম কলেজ ছাত্রলীগের ১০-১২ জন কর্মী নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কক্ষে প্রবেশ করে গালাগাল করেন। এক পর্যায়ে মগে থাকা গরম চা তার পায়ে ঢেলে দেন এবং হাত মচকে দেন। এ সময় মিম বলেন, তোর এমন অবস্থা করব যে তুই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবি। আরও কিছুক্ষণ মানসিক নির্যাতন করে কক্ষ থেকে দলবলসহ বের হয়ে যান মীম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আয়শা ইসলাম মীম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ রকম কিছুই ঘটেনি। কেউ আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না।’
হল সুপার নাজমুন নাহার অভিযোগপত্র পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের মিটিং আছে। সেখানে এ বিষয়ে আলোচনা হবে।’
ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা ঘটনা শুনেছি। হোস্টেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখছেন।’
এর আগে ইডেন ছাত্রলীগ সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভার বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে ৭ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন ও নগ্ন করে ভিডিও ধারণ করে ভাইরাল করার হুমকির অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
Leave a Reply