মামলার বাদি পরিবারের অভিযোগ, সিহেরাকাঠি গ্রামের মোঃ জাকির হাওলাদারের সাথে আপন ভাই বশির হাওলাদারের মধ্যে জমিজমার ভাগবাটয়ারা নিয়ে দুই পরিবারের রিবোধ চলে আসছিলা। ওই বিরাধের জের ধরে বশির হাওলাদারের স্ত্রী তানজিলা বেগমকে গত ১০ মে ২০২২ মারধর করে।
এ ঘটনায় তানজিলা বাউফল থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। পরে বাউফল থানার ননজিআর নং ৬২/২২ রুজু হয়ে পটুয়াখালী আদারতে পাঠান। আদালিত বিবাদী জাকির হোসেন ও তার স্ত্রী ছালমা বেগমকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে বাউফল থানা পুলিশ তাদেরকে গত ২ আগষ্ট আটোক করে আদালতে পাঠান। পরে আদালত থেকে জাকির ও তার স্ত্রী ছালমা জামিনে মুক্ত হয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদী তানজিলাকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।
মামলা তুলতে তানজিলা রাজী না হওয়ায় পথে ঘাটে উতক্ত করতে থাকে। সাংসারিক কাজে ঘরের বাহিরে বের হলে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে বলে তানজিলা সাংবাদিকদের জানান। বর্তমানে তানজিলা ও তার শিশু সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছে।
এদিকে জাকির হোসেন তার বাবাকে ফুঁসলিয়ে অন্য ভাইদের না জানিয়ে বাবার ১৫ কড়া সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নেয়। এ ঘটনায় তানজিলার স্বামী বশির আহম্মেদ তার বড় ভাই কাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তাকেও মারধর করে। এক পর্যায়ে বশির আহম্মেদ বাড়ী ছেড়ে ঢাকায় অবস্থান করেন। এব্যাপারে তানজিলার স্বামী বশির হাওলাদার বলেন, আমি বাড়িতে থাকতে পারিনা।
ঢাকতে থাকি। আমার স্ত্রী ও ছোট দুটি সন্তান বাড়িতে থাকে। আমার স্ত্রী ও সন্তানদের বাড়ি থেকে তারাবার জন্য আমার ভাই জাকির ও তার স্ত্রী ছালমা বেগম তাদের উপর অনেক বার হামলা করেছে। মামলা করেও প্রতিকার পাচ্ছিনা। জামীনে বের হয়ে আবার হামলা করেছে। মামলা তুলে নেয়ার জন্য চলার পথে বাধা বিঘœ করে।
আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমার বাবার সকল সম্পত্তি আমার ভাই জাকির
একা ভোগ করে। জমির কথা বললেই ভাই আমাকে মারধর করে। অভিযুক্ত জাকির হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমার মা নেই। বাবা জীবিত। বাবা
আমার সাথে বসবাস করছে। সে সুবাধে আমি বাবার কিছু জমি বেশি চাষ করি সেটা সত্য। এব্যপারে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) আল মামুন বলেন, ঘটনা আমি জেনেছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply