নিজস্ব প্রতিবেদক // টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় অনেকটাই বিপর্যস্ত নদী বেষ্টিত বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক চলাফেরা। অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের না হওয়ায় রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। সড়ক ও নৌপথে চলাচলরত যানবাহনগুলোতেও নেই যাত্রীদের ভিড়।
আবহাওয়া অফিস বলছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সকাল থেকেই বরিশালে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। সারাদিন কখনো মুষলধারে আবার কখনো হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে এ অঞ্চলে। সেইসাথে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বজ্রসহ আরো বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মাহফুজার রহমান জানান, রোববার সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময়কালে বাতাসের গতিবেগ ছিল সর্বোচ্চ ১৮ কিলোমিটার।
তিনি জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বরিশাল অঞ্চলের নদী বন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ-হুশিয়ারি সঙ্কেত আর পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখানো হয়েছে। এছাড়া বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি এবং এসব জায়গার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় সব নদ-নদীর পানি গতকালও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ নিয়ে টানা পাঁচ দিন ধরে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি জোয়ারের সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। সেইসাথে সকাল থেকে বৃহত্তর মেঘনাসহ বেশির ভাগ নদী বেশ উত্তাল রয়েছে। উত্তাল মেঘনা নদী পাড়ি দিতে গিয়ে বেলা ১২টার দিকে উলানিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় ৩২০ টন পাথরসহ একটি বাল্কহেড উল্টে ডুবে গেছে। তবে বাল্কহেডটিতে থাকা চার ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: মাসুম জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, ভারী বৃষ্টি ও পূর্ণিমার প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। বিশেষ করে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিষখালী নদীর পাথরঘাটা স্টেশনে আগের দিনের তুলনায় ২৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। আর পাথরঘাটার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।’
Leave a Reply