ঘটনার পরপরই বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে যায়। ফলে ইজ্জতের হানি ঘটেছে বলে জানান মেয়েটির বাবা। এরই মাঝে তিনি পটুয়াখালী মেডিকেল রিপোর্টের জন্য নমুনা প্রদান করেছেন। ডাক্তারের তাকে জানিয়েছেন ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। কিন্তু দিনমজুররি করে কোনোরকম দিন চলায় মামলা চালানো তার কাছে কষ্টসাধ্য। তাই তিনি উপরওয়ালার কাছে বিচার চেয়ে অশ্রুসিক্ত চোখে মামলায় যেতে চান না বলে জানান।
স্থানীয় সাংবাদিক সাাফায়েত হোসেন জানান, ঘটনাস্থল ঘুরে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এমন কাজের তীব্র নিন্দা জানাই। বহরমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান সোহাগ জানান, পটুয়াখালী থেকে টেস্ট করানোর পর বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। আমার আগে থানায় জানানো হয়েছে।
আসলে একটি মহল বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। আমার মতে নারী ও শিশু বিষয়ক ঝামেলার বিষয় সমন্বয় করার চাইতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ভালো। আমি চাই এর সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার হোক। প্রশাসনের পাশাপাশি আমাদের সহযোগিতার প্রয়োজন হলে অবশ্যই আমরা পাশে থাকবো।
এ বিষয়টি ব্রাকের এসোসিয়েট অফিসার (সেলপ) উল্কা বিশ্বাস কে জানানো হলে তিনি বলেন, আমরা ভুক্তভোগী পরিবারটির সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সহযোগিতার চেষ্টা করবো এবং মামলা দায়ের করার ব্যবস্থা করবো।
জরুরি মিটিং এ ব্যস্ত থাকায় থানায় অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য নিতে ফোনকলে পাওয়া যায়নি দশমিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মেহেদী হাসান কে। পরে থানার এস আই তৌসিফ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগের ব্যপারে অবগত নয় বলে জানান। ভুক্তভুগী পরিবারটিকে দেখা করার জন্য বলা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল।