1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. thelabpoint2022@gmail.com : Rifat Hossain : Rifat Hossain
দুম্বার খামারে বাদলের ভাগ্যবদল - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১১:০৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরনাম :
যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে গ্রামীণ ইটের রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ! বরিশালে প্যান-এশিয়ান খাবার নিয়ে Too Yum রেস্টুরেন্টের যাত্রা শুরু! ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি শুরু, শর্ত ও সময় নিয়ে বিভ্রান্তি নড়াইলে তিল খেত থেকে মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের জন্ম, বিকাশ ও বিপন্নতা: ইতিহাস ও বাস্তবতার সন্ধিক্ষণে” বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে অস্ত্র, গোলাবারুদসহ ডাকাত বাহিনীর সহযোগী আটক গুম করে গাড়ি-ট্রেনের নিচে ফেলে হত্যা করা হতো একই সময়ে দুই শহরে গুলিবিদ্ধ হন বাদী! ধর্ষণ মামলার বাদীকে বিয়ে করে জামিন পেলেন গায়ক নোবেল চাঁদা না দেওয়ায় দাড়ি ধরে টেনে মারধর

দুম্বার খামারে বাদলের ভাগ্যবদল

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫
  • ৪৩ 0 বার সংবাদি দেখেছে

সখের বশে দুম্বা লালনপালন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বরিশালের রেজাউল করিম বাদল। এখন তার খামারে রয়েছে ৭০টি তুর্কি দুম্বা। এসব দুম্বা কোরবানিতে বিক্রি করার কথা জানান তিনি।

রেজাউল করিম বাদল বরিশাল নগরীর লোহারপোল এলাকার বাসিন্দা। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন।

শখের বশে ২০১৬ সালে খুলনা থেকে তিনটি তুরস্ক প্রজাতির দুম্বা সংগ্রহ করেন রেজাউল করিম। ছয় মাস যেতে না যেতেই বাচ্চা দেওয়া শুরু করে দুম্বাগুলো। ধীরে ধীরে তিনটি থেকে বেড়ে এখন তার খামারে ৭০টি দুম্বা।

সদর উপজেলার কর্নকাঠি গ্ৰামে বাদলের খামার ঘুরে দেখা গেছে, দুম্বার পাশাপাশি শতাধিক ব্লাক বেঙ্গল, তোতাপাড়ি, বৃটল, গুজরি ও দেশি বিভিন্ন প্রজাতির উন্নত মানের ছাগল রয়েছে তার খামারে। ছয় শ্রমিক সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব প্রাণীর সেবায় কাজ করছেন। শ্রমিকদের পেছনে মাসে লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়। দুম্বা ও ছাগলের জন্য তিন বেলা দেশিয় ঘাস, গম, ভুট্টার ভুষিসহ মাসে খাবার খরচ মিলিয়ে ব্যয় হচ্ছে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা।

রেজাউল করিম বাদল বলেন, ‘লালন-পালনের পর তিন মাস পরপর দুম্বা ও ছাগল বিক্রি করে ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা আয় হয়। তবে এসব দুম্বা ও ছাগল খাওয়ার জন্য মানুষ কিনছেন না, সবাই পালন করার জন্য নিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে যারা নিজস্ব বা বাণিজ্যিক খামার গড়ছেন তারা এখান থেকে বাচ্চা নিয়ে যান।’

 

তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের দুম্বা আমাদের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে ছাগলের সঙ্গে একই খাবার খাচ্ছে। পাশাপাশি ৬-৮ মাসের মধ্যে বাচ্চা দিচ্ছে। বাচ্চাগুলো এক বছরের মধ্যে প্রায় ৮০ কেজি পর্যন্ত ওজন হওয়ার পর সেটি বিক্রির উপযোগী হয়।’

বাদলের স্ত্রী আসমত আরা জানান, ‘স্বামীর উদ্যোগে দুম্বা পালন করে তারা এখন স্বাবলম্বী। সফলতা দেখে অনেক তরুণ উদ্যোক্তারা প্রতিদিন ভিড় করছেন খামারে। প্রয়োজন অনুযায়ী সবাইকে সহযোগিতার কথাও বলেন তিনি।’

নগরীর বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ মইনুল হক বলেন, ‘দুম্বার খামারের খবর পেয়ে দেখতে গিয়েছিলাম কর্নকাঠি এলাকায়। কিন্তু দুম্বা পছন্দ হলেও দামে মিলানো যাচ্ছে না। ৮০ থেকে ৯০ কেজি ওজনের একটি দুম্বার যে দাম পড়ে সে দামে ২০০ কেজি ওজনের একটি গরু কিনতে পাওয়া যায়।’

এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা বাদলের খামারটি সার্বক্ষণিক অবজারভেশনে রেখেছি। মরু দেশের এ প্রাণী আমাদের আবহাওয়ার সঙ্গে মিলে গেছে। দুম্বা পালনে নতুন উদ্যোক্তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সহযোগিতা করা হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ