শুধু তা–ই নয়, যেসব প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানির অনুমতি দেয়া হবে, তারা সে অনুযায়ী কাজ করছে কি না, তা কঠোর নজরদারিতে রাখবে সরকার। এর আগে ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ২০১৯ থেকে দেশটিতে আবার তা চালু করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে দুই দফায় ১১৫ প্রতিষ্ঠানকে ভারতে মোট ৪ হাজার ৬০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হলেও অনেকেই তা করেনি। তবে তার আগের বছর ২০২০ সালে সরকারি অনুমতির আলোকে প্রথমে ১ হাজার ৪৫০ টন এবং পরে আরও ৪০০ টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।
এবারে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেতে এরই মধ্যে শতাধিক প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। তা থেকে প্রাথমিকভাবে ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতিপত্র দেয়ার জন্য ঠিক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ভারতে গতবার রপ্তানি হয়েছিলো ১ হাজার ৪০০ টন ইলিশ। তখন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিলো রপ্তানির ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা। তবে এবারে রপ্তানি বেশি হবে বলে আশা করছি। রপ্তানির সময়সীমা বাড়ানোরও চিন্তা করা হচ্ছে।
গতবার রপ্তানি ভালো না হওয়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অসন্তুষ্ট বলে জানা গেছে। অনুমতি নিয়েও ভারতে ইলিশ রপ্তানি না করায় গতবার ৭৩টি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছিলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সূত্র জানায়, যারা রপ্তানি করেছিলো, তাদের পরিমাণ ছিলো ৩ থেকে ৪০ টন পর্যন্ত।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ ৪০ টন পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে থাকে। এ জন্য সময় দেয়া হয় ১৫ দিন। সূত্রগুলো জানায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দু–এক সপ্তাহের মধ্যেই ইলিশ রপ্তানির অনুমতির কথা আমদানি-রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরকে জানিয়ে দেবে।
এদিকে বাংলাদেশ ছাড়াও প্রতিবেশী ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে ইলিশ পাওয়া যায়। তবে স্বাদের দিক থেকে বাংলাদেশের ইলিশই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ভারতে সাধারণত ৭০০ গ্রাম থেকে ১ হাজার ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ রপ্তানি হয়ে থাকে।
Leave a Reply