
মো:ইয়াহিয়া শাকুর,পটুয়াখালী // পরিবেশ সুরক্ষা ও গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পটুয়াখালীতে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী পেরেক অপসারণ কর্মসূচি। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯:৩০টায় ঝাউতলা শহীদ হৃদয় তরুয়া চত্বরে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী, পরিবেশবাদী সংগঠন এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সফিকুল ইসলাম, সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ তারিকুল ইসলাম, সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা নয়ন মিস্ত্রি, গলাচিপা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, ইন্সপেক্টর (ক্রাইম) মেহেদী হাসান, এনিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর রেস্কিউ অ্যান্ড রিলিজ উইং প্রধান মোঃ আসাদুল্লাহ হাসান মুসা, বিডি ক্লিন পটুয়াখালীর সদস্যরা এবং শেরে বাংলা স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, “গাছ কেবল অক্সিজেন সরবরাহ করে না, বরং ছায়া প্রদান, বায়ুদূষণ রোধ এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গাছে পেরেক বা বিজ্ঞাপন লাগানো শুধু গাছের ক্ষতি করে না, এটি পরিবেশবিরোধী কাজও।”
বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, “গাছে পেরেক লাগানো হলে সংক্রমণ তৈরি হয়, যা ধীরে ধীরে গাছের মৃত্যু ঘটায়। এটি শুধু একটি গাছের ক্ষতি নয়, বরং পুরো পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।”
এই কর্মসূচির আওতায় পটুয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে গাছ থেকে পেরেক অপসারণ করা হবে এবং স্থানীয় জনগণকে গাছের সুরক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা হবে। উপস্থিত সকলে এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে নিয়মিত এ ধরনের কর্মসূচি পরিচালনার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, পরিবেশ সুরক্ষার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ২৮টি জেলায় একযোগে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।