বরগুনায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন সৈয়দ আহমেদ প্রিন্স (৪০) ও মো. মনির হোসেন খান (৪০)। তারা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ ও বরগুনার বেতাগী উপজেলার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হালিম।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বরগুনার বেতাগী উপজেলার মো. ইব্রাহিম গোলদার নামের এক তরুণকে ২০২৪ সালের পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ছয় লাখ টাকা দাবি করে প্রতারক চক্র। মৌখিকভাবে চূড়ান্ত চুক্তি হয় ছয় লাখ টাকায়। পরবর্তীতে বিকাশ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় প্রতারকরা।
বিষয়টি প্রতারণা নিশ্চিত হয়ে ইব্রাহিমের দাদা মো. জলিল গোলদার বেতাগী থানায় চারজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা করেন। পরে ৬ এপ্রিল ঢাকার উত্তরা থেকে সৈয়দ আহমেদ প্রিন্স এবং ৭ এপ্রিল বরগুনার গাবুয়া থেকে মনির হোসেন খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আদায় করা প্রায় এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের আদালতের মাধ্যমে বরগুনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল হালিম জাগো নিউজকে বলেন, টাকা নিয়ে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার একটি অভিযোগ আসার পরই অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করি।
তিনি আরও বলেন, সামনে আমাদের নতুন একটি নিয়োগ আছে। পুলিশে চাকরি সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও মেধার ভিত্তিতে হয়। তাই চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে যে কোনো ধরনের লেনদেন বা ঘুস প্রস্তাব থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ থাকবে।