সারা দেশে বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নয়া পল্টনে এ গায়েবানা জানাজা পড়া হয়। আগামীকাল মঙ্গলবার আবদুর রহিম মাতবরের হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীসহ দেশের সব জেলা ও মহানগরে সমাবেশ করবে বিএনপি।
গায়েবানা জানাজার আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভোলায় আমার ভাইয়ের রক্ত ঝরেছে। এটি ছিল একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। সেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ গুলিবর্ষণ করেছে। আমরা আবদুর রহিমের রক্ত বৃথা যেতে দিতে পারি না। তার এই আত্মত্যাগকে ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে আরও বেগবান হয়ে এ সরকারকে পরাজিত করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ভোলায় আবদুর রহিম মাতবরের রক্তদানের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, এ দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদী সরকারের দমন-নিপীড়নকে ভয় করে না। রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে হলেও তারা এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করবে।’
নয়া পল্টনে গায়েবানা জানাজায় আরও অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, কামরুজ্জামান রতন, হারুনুর রশীদ, আমিনুল হক প্রমুখ। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নেতারা ছাড়াও নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জাগপার খন্দকার লুতফর রহমান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই গায়েবানা জানাজায় অংশ নেন।
গতকাল রোববার ভোলা সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে গুলিতে আবদুর রহিম মাতবর নিহত হন। সংঘর্ষে আহত হন দুই পক্ষের শতাধিক ব্যক্তি। গতকাল বেলা ১১টার দিকে জেলা সদরের মহাজনপট্টিতে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতের অবস্থাপনার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিএনপি।
Leave a Reply