উপজেলার লস্কারদিয়া ইউনিয়নের বাঘুটিয়া গ্রামে অবস্থিত আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ঘরটি বিক্রি করেন বাঘুটিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী রিপন মোল্যা ও তার স্ত্রী বিথি বেগম দম্পতি। আর ঘরটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে কিনে নিয়ে বসবাস করছেন রাশেদ মোল্যা ও তার স্ত্রী রাশিদা বেগম দম্পতি।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাঘুটিয়া গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। ঘরগুলো ১০ জন সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ করেন সংশ্লিষ্টরা। সুবিধাভোগীদের বেশিরভাগ বসবাসকারী হলেন বাঘুটিয়া গ্রামের লোকজন।
১০টি ঘরের মধ্যে একটি ঘর টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছে ও একটি ঘর দখলে নিয়ে বসবাস করা হচ্ছে। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে- এক সুবিধাভোগীর কাছ থেকে আরেকটি ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন একজন অন্ধ ব্যক্তি।
টাকা দিয়ে ঘর কিনে বসবাসের কথা স্বীকার করেন রাশিদা বেগম। তিনি বলেন, রিপনের কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ঘরটি কিনেছি আমরা।
ঘর বিক্রির বিষয়ে আসল সুবিধাভোগী রিপনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, সরকার একটি ঘর নির্মাণ করে প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ করে। ঘরের সঙ্গে জমিও তো বরাদ্দ দিয়েছে।
অথচ এত টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেই ঘর মাত্র ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে। এটা কীভাবে সম্ভব। আর এই ঘর তো বিক্রি করার জন্য সরকার আমাদের দেয়নি।
সরকার ঘর দিয়েছে আমাদের মতো অসহায়দের বসবাস করার জন্য। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যাতে আর কেউ ঘর বিক্রি করার সাহস না পায়।
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমাম রাজী টুলু বলেন, সরকার জমিসহ ঘরগুলো যাদের দিয়েছে, তাদের তা বিক্রি করার কোনো অধিকার কাউকে দেয়নি। সরকারি ঘর বিক্রি করা চরম অপরাধ। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমরা ইতোমধ্যে খোঁজখবর নিয়ে একটা তালিকা করার কাজ শুরু করেছি। যারা ঘরে বসবাস করছে না বা বিক্রি করছে, তাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে নতুন সুবিধাভোগীদের মাঝে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে।
Leave a Reply