শনিবার উদ্ধারকৃত কিশোরীকে ফরিদপুর আদালতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। বিকালে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী-বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা) সার্কেল সুমন কর এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওই কিশোরী কলকাতার নদীয়া জেলার শান্তিপুর থানার ফুলিয়াপাড়া এলাকার সুনীল দাসের মেয়ে। সে শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৪টায় ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আসে।
জানা গেছে, ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার গুনবাহা গ্রামের তনময় রাজবংশির (২১) সঙ্গে ফেসবুকে ওই কিশোরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায় ওই কিশোরীকে শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বোয়ালমারীতে নিয়ে আসে রাজবংশি। বোয়ালমারীতে আসার পর তাকে পোয়াইল গ্রামে তনময়ের ভগ্নিপতি গোপাল রাজবংশির বাড়িতে উঠানো হয়। সেখানে রাতে বিয়ের আয়োজন চলে। রাত ১১টার দিকে বিয়ের পিঁড়িতে বসলে থানা পুলিশ খবর পেয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ সময় তনময়কে আটক করে পুলিশ।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, মেয়ের বয়স কম। তাছাড়া মেয়েটির কাছে কোনোপাসপোর্ট কিংবা ভিসা পাওয়া যায়নি। তাকে কি কারণে এ দেশে এনেছে সে জন্য তনময় রাজবংশিকে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হবে কি উদ্দেশ্যে ওই কিশোরীকে আনা হয়েছে। অপরদিকে ওই কিশোরীকে আদালতের মাধ্যমে কিশোরী সংশোধন কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply