মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুজ্জোহা সরকার নূরুল হুদার ফের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
রাষ্ট্রদ্রোহের এ মামলায় এর আগে এ আসামির গত সোমবার সাবেক এ সিইসির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই রিমান্ড শেষে নূরুল হুদাকে আদালতে হাজির করে ফের দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে আদালতে উপস্থিত করা হয়।
রিমান্ড আবেদন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করে বলেন, আসামি কে এম নূরুল হুদাকে চার দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে মামলার ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করা কালে আসামি কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দেওয়ায় পুনরায় দশ দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন।
জিজ্ঞাসাবাদ করার কারণ সমূহ: ১.আসামি প্রদানকৃত চাঞ্চল্যকর তথ্যাদি যাচাই বাছাই করা। ২. আসামি যে তথ্য গুলো প্রদান করেছেন সেগুলো নথি সংক্রান্ত তথ্য হওয়ায় ওই নথি সমূহ উদ্ধার পূর্বক যাচাই বাছাই করা। ৩. আসামি প্রধান নির্বাচন কমিশনার থাকাকালে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি পাতানো নির্বাচন ছিল। সেটি দাপ্তরিক সংঘবদ্ধ অপরাধ। আসামির নির্দেশে অন্যান্য অফিসের সাথে যোগসাজশ করে কীভাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি পাতানো নির্বাচন করে তা উদ্ঘাটন ৪. ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর্থিক বাজেট ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত তথ্য উদ্ঘাটন করা। ৫. আসামি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাথে জড়িত অন্যান্য পলাতক আমামিদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারসহ ক্রোস জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
নুরুল হুদার পক্ষে অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম সজিব, ওবায়দুল ইসলামসহ আরও অনেকেই রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২২ জুন সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে নুরুল হুদার বাড়িতে গিয়ে ‘স্থানীয় জনতা’ তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
উল্লেখ্য, মামলাটিতে গত ২৫ জুন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার হয়। পর দিন সিএমএম আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।