রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে বরগুনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা দাসের সই করা এক অফিস আদেশে ১৪৪ ধারা জারির তথ্য জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতির গ্রুপ ও সভাপতির পদ বঞ্চিত নেতার গ্রুপ একই সময়ে বরগুনা সরকারি কলেজে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করায় নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন। এতে বিশৃঙ্খলা, মারামারিসহ যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটার শঙ্কা ছিল।
এছাড়া আইনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা থাকায় বরগুনা সরকারি কলেজসহ আশপাশের এলাকায় ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ওই এলাকায় সব রকম সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা দাস বলেন, ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির দুই পক্ষ সরকারি কলেজ মসজিদে দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করে। এতে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শহরের পরিস্থিতি ঠিক রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানায়, বরগুনা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি রেজাউল কবির রেজা এবং সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরানের নেতৃত্বে ২১ আগস্ট উপলক্ষে রোববার বিকেলে বরগুনা সরকারি কলেজ মসজিদে দোয়া মাহফিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। অন্যদিকে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে লড়াই করে নতুন কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ পাওয়া সবুজ মোল্লাও একই স্থানে দোয়া মাহফিলের ঘোষণা দেন। এ উপলক্ষে ওই কলেজে বিবদমান দুই গ্রুপের অন্তত সাত-আট শতাধিক নেতাকর্মীর উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ আট বছর পর গত ১৭ জুলাই বরগুনা শহরের সিরাজ উদ্দীন টাউন হল মিলনায়তনে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২৪ জুলাই রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেন।
এতে জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৩ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকেই সদ্য ঘোষিত এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বরগুনা শহরে পদ বঞ্চিতরা কর্মী সমর্থক নিয়ে দফায় দফায় হামলা ভাঙচুর চালাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দোয়া মাহফিলে সহিংস ঘটনা ঘটার শঙ্কা থাকায় রোববার দুপুর ১২টা থেকে সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
Leave a Reply