অভিযোগ আছে, শেরেবাংলা মেডিকেল ঘিরে আছে সক্রিয় দালাল আর সিন্ডিকেট চক্র। তাদের মাধ্যমে রোগীদের জিম্মি করে বাড়তি টাকা আদায় করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙাচোরা আর ফিটনেসবিহীন মাইক্রোবাস রূপান্তর হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সে। এমন একটি অ্যাম্বুলেন্সের চালকের কাছে এমন ব্যবসার বিস্তারিত জানতে চাইলে তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যান তিনি।
বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ প্রায় সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে জমজমাট এমন মাইক্রোবাস দিয়ে তৈরি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবসা। দালাল আর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জিম্মি করে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।
অক্সিজেনসহ রোগীর প্রয়োজনীয় সেবা থাকার কথা অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে। কিন্তু এর কোনো বালাই নেই। বারবার বিআরটিএ ও জেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করলেও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এসব অ্যাম্বুলেন্স। উল্টো অকপটে অবৈধ অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসার কথা স্বীকার করেন চালক ও মালিকরা।
চালকরা বলছেন, সবারই কাগজপত্র আছে কিন্তু নাম্বার মাইক্রোবাসের দিয়ে চলছে।
বরিশাল অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি ফিরোজ আলম বলেন, সব গাড়ির কাগজ আছি তবে মেয়াদোত্তীর্ণ। এখানে যে পরিমাণ ট্রিপ হয় তাতে তো চালকদের খাবারই জোটে না কিন্তু গাড়ির কাগজ করবে কীভাবে।
শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে জানিয়ে অবৈধ অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে সরল স্বীকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, মানসম্মত অ্যাম্বুলেন্স যাতে হাসপাতাল চত্বরে না থাকে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আর বরাবরের মতো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিআরটিএ ও জেলা প্রশাসন।
বিআরটিএ বরিশাল বিভাগের পরিচালক মো. জিয়াউর রহমান বলেন, আমরা এখন তাদের আর সুযোগ দেব না। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে সেগুলো চলাচল বন্ধ করে দেব।
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, কারা কারা থাকে তাদের কাগজপত্র এবং গাড়ির নম্বরসহ আমাদের দিলে আমরা শুদ্ধি কার্যক্রম চালু করব।
বিআরটিএর তথ্যমতে, বরিশাল জেলায় নিবন্ধনকৃত অ্যাম্বুলেন্স আছে ৩৭টি আর মহানগরীতে ১২টি।
Leave a Reply