গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয় দলটি।
মির্জা ফখরুল বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যদির মূল্য বৃদ্ধি, চলমান আন্দোলনে ভোলায় নুরে আলম ও আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন, মুন্সিগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন ও যশোরে আব্দুল আলিমসহ মোট ৫ জন হত্যার প্রতিবাদে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে আগামী ৮ অক্টোবর হতে সারা দেশে বিভাগীয় গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম, ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ, ২২ অক্টোবর খুলনা, ২৯ অক্টোবর রংপুর, ৫ নভেম্বর বরিশাল, ১২ নভেম্বর ফরিদপুর, ১৯ নভেম্বর সিলেট, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী এবং ১০ ডিসেম্বর ঢাকা।
এছাড়াও আব্দুর রহিম, নূরে আলম, শাওন, শহিদুল ইসলাম শাওন, আব্দুল আলিমের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আগামী ৬ অক্টোবর দেশের সকল মহানগর পর্যায়ে এবং ১০ তারিখে সকল জেলা পর্যায়ে শোক র্যালি অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে জানান বিএনপির মহাসচিব।
পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে নৌকা ডুবিতে মানুষের প্রাণহানিতে গভীর শোক প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ পর্যন্ত ৬৫টি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, আশংকা আরও ২৫/৩০ জন নিখোঁজ রয়েছে। এই ভয়াবহ দূর্ঘটনায় সরকারের সক্রিয় উদ্ধার তৎপরতা না থাকায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়। অবিলম্বে নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের জঘন্য মধ্যযুগীয় হামলার নিন্দা। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বহিষ্কার ও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ভিসির অপসারণ দাবি করেন ফখরুল।
সবধরনের আক্রমনের দায়দায়িত্ব নিয়ে সরকারের পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়া উচিত।
তিনি বলেন, নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে হবে। সরকারের পদত্যাগের আগেই নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে।
সাম্প্রতিক সমাবেশগুলোতে জনসম্পৃক্ততা বেড়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণের মধ্যে দাবি উঠেছে, এই সরকারের পতন হওয়া উচিত।
Leave a Reply