মো:রাশেদ খান ভোলা // ভোলার বাঘার হাওলা নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার কে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হয়রানি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. মুহিবুল্লাহ সাহেব তিনি সাংবাদিকদের কে বলেন। দীর্ঘদিন যাবত সাবেক অবসরপ্রাপ্ত ভোলা বাঘর হাওলা নেছারিয়া মাদ্রাসার সাবেক সুপার মাওলানা মো.আবু তাহের সাহেব ও তার ছেলে মো.মিজানুর রহমান। দীর্ঘদিন যাবত আমার বিরুদ্ধে ভোলা জেলা প্রশাসন, ভোলা জেলা পুলিশ সুপার, ভোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এবং সংবাদ মাধ্যমসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর গুলোতে লিখিত অভিযোগ দিয়ে আমাকে হয়রানি করে আসছে। লিখিত অভিযোগের পরিপেক্ষিতে ভোলা জেলা প্রশাসন ও ভোলা জেলা পুলিশ সুপার, সংবাদকর্মী সহ বিভিন্ন দপ্তরের নেতৃবৃন্দরা তদন্ত করে আমার বিরুদ্ধে যে সকল মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। তারা সরেজমিতে তদন্ত করে আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে তার কোন সততা পায়নি। অভিযোগকারী মো. মিজানুর রহমান বলেন উল্লেখিত মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হাজী আছমত আলী মুন্সি। বিগত ১১/০৩/১৯৯৯ইং সালে বর্তমান সুপার সাহেব বতি মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরীতে নিয়োগ পান। ১৯৯৪ইং সালে মাদ্রাসাটি এম.পি.ও ভুক্ত হয়। বর্তমান সুপার মাওঃ মো. মহিবুল্লাহ সাহেব লোভের বশবর্তী হয়ে উচ্চে পদ পাওয়ার লোভে ০৫/১১/১৯৯৭ইং সনে নীতিমালা বর্হিভূতভাবে ভিত্তীহিন, ভুয়া অভিজ্ঞতার কাগজপত্র জাল, জালিগুড়ির মাধ্যমে তৈরী করিয়া মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক পদ হইতে সুপার গনে চাকুরীতে নিয়োগ লাভ করেন। পরবর্তী অন্যান্য লোককে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করিয়া সুপার পদে অধিষ্ঠিত হন। তাহার শিক্ষাগত যোগ্যতা ২৪/১০/১৯৯৫ইং শিক্ষা জীবনে সকল পরীক্ষা বিধি মোতাবেক ২য় বিভাগ থাকতে হবে, কিয়া ২টি ৩য় বিভাগ থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি লাভ করেন। কিন্তু ০৫/১১/১৯৯৭ইং ২ বৎসর ০৮ মাস স্বল্প অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রতারনার আশ্রয় নিয়া নিয়মনীতি বর্হিভূতভাবে সুপার পদে অবিভাত হয়। জানা গেল সহকারী শিক্ষকসহ মাদ্রাসার কমিটির সকলকে ১০,০০,০০০/- লক্ষ টাকা ব্যায়ে ম্যানেজ করিয়া কোন প্রকার বাধা বিঘ্ন ছাড়াই সুপার পদে অধিষ্ঠিত আছেন। উক্ত সুপার একটি প্রভাবশালী মহল কে ম্যানেজ করিয়া ও অবৈধ ক্ষমতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটাইয়া নিজ ইচ্ছামত যাহা খুশী ভাধ্যই করেন। মাদ্রাসা সংলগ্ন মাদ্রাসার জমিতে সৃজিত বহু পুরানো ২টি রেডিগাছ ৯৬,০০০/- (ছিয়া নব্বই হাজার) টাকা বিক্রয় করিয়া টাকা আত্মসাধ করেন ইতিপূর্বে। ২ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দিবেন বলিয়া তাহাদের কাছ থেকে নগদ ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকা নিয়া আত্যসাব করেন। মাদ্রাসার দোকানের প্রতিমাসের ভাড়া নিয়া আত্মসাধ করেন। মাদ্রাসার সম্মুখভাগে দোকান পাট করিয়া দিবেন বলিয়া ও বাজারের অনেকজনের সাথে আলাপ আলোচনা চালাইয়া আসিতেছেন এবং পজেশন বাবধ ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকারকথাবার্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রী হইতে অতিরিক্ত ফি আদায় এবং অন্যান্য তুয়া খরচা পাতি দেখাইয়া অতিরিক্ত ফি আনায় করিয়া নিয়া থাকে। একটি বিশেষ সূত্রে জানা যায় ভোলা বাঘার হাওলা নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক অবসরপ্রাপ্ত সুপার মো. মাওলানা আবু তাহের সাহেব। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর হতে বিভিন্ন জাল জালিয়াতি, শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, মাদ্রাসার উন্নয়ন খাতের আয়, মাদ্রাসার আভ্যন্তরীন আয়, জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষার রেজিঃ, ফরম ফিলাপ, সনদ বিক্রি, একাডেমিক ট্রান্সকিপ বিক্রির আয়, ১ম সাময়িক ও বার্ষিক পরীক্ষার আয়, উপবৃত্তির টিউশন ফি এর আয়ের অর্থ আত্মসাৎ সহ ১৯৯৪ সনের শিক্ষকের ব্যানঃবেজে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর জাল সহ তিন শিক্ষকের ভূয়া নাম দেখাইয়া বেতন উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। মাদ্রাসার নামে ৯ মেট্রিক টন চাল বিক্রয়ের অর্থের টাকা দিয়ে ছেলে মোঃ ওবায়েদুর রহমান এর নামে জমি ক্রয় সহ বিভিন্ন দূর্নীতি কর্মকান্ডের সাথে জড়িত হয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫০,০০০০০০ টাকার ক্ষতিসাধন করিয়াছেন। যার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ঘটনা নিম্নে বর্ননা করলাম। মাদ্রাসার নামে বিভিন্ন সময় উন্নয়ন খাতের চাল, গম ও নগদ অর্থ বরাদ্দ হইলেও বিগত বি.এন.পি সরকারের আমলের শেষ দিকে অর্থাৎ ২০০৫ ইং সালের টি আর এর ৯ মেট্রিক টন চাল মাদ্রাসার মাঠ ভরাট করার জন্য বরাদ্দ হয়। যার বিক্রয় মূল্য ১,৪০,০০০ টাকা। সুপার সাহেব মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও শিক্ষক/কর্মচারী কে অবহিত করেন যে, আমাদের মাদ্রাসাটি ভবিষ্যতে আলিম শ্রেনীতে উন্নীত করা হবে। তাই মাদ্রাসার পূর্ব পার্শ্বের বেচু হাজী সাহেবের সাড়ে পাচ গন্ডা জমি মাদ্রাসার নামে দলিল নেয়া প্রয়োজন। এ জন্য উক্ত সাড়ে পাচ গন্ডা জমি দলিল করতে প্রায় ১,০০০০০০ টাকা খরচ হবে। আমরা আপাতত চাল বিক্রি করার টাকা দিয়ে মাদ্রাসার নামে দলিল করতে পারি কিনা? সুপার সাহেবের এ প্রস্তাব অনুযায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ ও মাদ্রাসার শিক্ষকগণ জমিটি মাদ্রাসার নামে ক্রয় করার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্বান্ত করেন। জমি ক্রয় করার পর যে বাকি টাকা থাকবে তা দিয়ে মাঠের দক্ষিন পার্শ্বে একটি ছোট গর্ত আছে তা ভর্তি করার জন্য সুপার সাহেব কে অনুরোধ করা হয়। জমি মাদ্রাসার নামে দলিল করার জন্য সুপার সাহেব ও তার বড় ছেলে মোঃ ওবায়দুর রহমান সাবেক মাদ্রাসার সভাপতি কে দায়িত্ব প্রদান করা হয় এবং ৯ মেট্রিক টন চালের ভাউচার মাঠ ভরাট করার কাজে ব্যায় হয়েছে মর্মে কমিটির সদস্য গন ভাউচার অনুমোদনের সিদ্বান্ত করেন। পরবর্তীতে দেখা যায় যে, তার ছেলে মোঃ ওবায়েদুর রহমান মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি সাহেব উক্ত পাচ গন্ডা জমি মাদ্রাসার নামে দলিল না করে নিজ নামে দলিল করে তা হতে দুই করা জমি মাদ্রাসার নামে দান করে দাতা সদস্য হন। এ ব্যাপারে আমরা দীর্ঘদিন পরে জানতে পারলেও কোনো প্রতিকার পাইনি। বর্তমানে ঐ জমিতে সুপার সাহেব বাড়ী করে বসবাস করতেছেন। মাদ্রাসায় দান করা দুই করা জমি মাদ্রাসা এলাকায় আছে মর্মে দাবি করেন। এবং মাদ্রাসার টিন সেট পাকাঁ ঘর নির্মান কালে সাবেক সভাপতি মোঃ ওবায়েদুর রহমান সাহেব প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষানুরাগী সদস্য জনাব মাওলানা মফিজুল ইসলাম সাবেক অধ্যক্ষ, মৌলভির হাট ফাজিল মাদ্রাসা এর মধ্যস্থতায় ঘর নির্মান করা সম্ভব হয়। বিগত ১৫/১০/১৬ ইং তারিখ সাবেক সভাপতি মোঃ ওবায়েদুর রহমান সাহেব মাদ্রাসা এলাকায় জমি দাবি করে গাছের চারা রোপন করেন। এই ব্যাপারে ১৬/১০/১৬ ইং তারিখ সুপার সাহেব কে মাদ্রাসার শিক্ষক প্রতিনিধি গন জানতে চাইলে তিনি বলেন সাবেক সভাপতি তার নিজ জায়গায় গাছের চারা রোপন করেছেন। বাঘার হাওলা নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. মহসিন বলেন। আমি ১/১২/১৮ সালে বাঘার হাওলা নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হিসেবে আমার নিয়োগ হয়েছে। আমার চাকরির নিয়োগের ক্ষেত্রে কমিটি অথবা মাদ্রাসার সুপার কে কোন টাকা পয়সা দেওয়া লাগেনি। আমার যোগ্যতায় আমাকে পরীক্ষা ভোট মনোনীত করেছেন। বাঘার হাওলা নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বলেন। সাবেক অবসরপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা মো.আবু তাহের সাহেব ও তার ছেলে মো.মিজানুর রহমান। দীর্ঘদিন যাবত আমাদের মাদ্রাসার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে । তা মিথ্যা এবং আমাদের প্রতিষ্ঠান সহ আমাদেরকে বিভ্রান্তি করার জন্য এই অভিযোগ করেছে। বাঘার হাওলা নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো.মহিবুল্লাহ সাংবাদিকদের কে বলেন। আমি মাদ্রাসায় যোগদান করার পর থেকে আমার বিরুদ্ধে একাধিক ভাবে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। সাবেক অবসরপ্রাপ্ত মাওলানা মো.আবু তাহের সাহেব ও তার ছেলে মো. মিজানুর রহমান। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার দপ্তর থেকে তদন্ত করে দেখেছেন। যে আমার বিরুদ্ধে যেই অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই বিষয়ে ভোলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্রশীল কে বলেন। আমি ভোলার বাঘার হাওলা নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি। কিন্তু আমি এই অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানিনা।