আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তারা প্রথমে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হলে শিক্ষক ও পুলিশ তাদেরকে থামানোর চেষ্টা করে। পটুয়াখালীর পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ জানান বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে বেশ কিছু খালি জায়গা বহু বছর ধরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যবহার করে আসছে। আমরা এর মিমাংসা করার চেষ্টা করছি।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি জেলা প্রশাসন তাদের জায়গা দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মান করতে চাইলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তারপর ই আন্দোলনে নামেন তারা।
বিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থী তিশা,প্রমি,শিফা,তুসি ও তুর্মি পাল বলেন শতবর্ষ ধরে আমরা এই মাঠ ভোগ করে আসছি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহ সবাই জানতো জায়গাটা বিদ্যালয়ের সম্পত্তি। কিন্তু হঠাৎ করে একশো বছর পর এসে প্রশাসন নিজের দাবি করলে আমরা তা মানতে পারি না। আমাদের খেলার মাঠ আমাদের ই থাকবে৷ তারজন্য যা করতে হয় আমরা প্রস্তুত আছি।
গতকাল শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই জায়গা সম্পূর্ণ ই জেলা প্রশাসনের সম্পত্তি। তারপরও স্কুলের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মহোদয় বলেছেন আমাদের কিছু জমির অংশ নিলেও বেশ কিছু অংশ ছেড়ে দেবেন তাতে আমাদের উপকার ই হবে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহম্মদ কামাল হোসেন বলেন, বিদ্যালয় ভোগ দখল করলেও জায়গাটি জেলা প্রশাসনের মালিকানাধীন সম্পত্তি। তারা এত বছর ওই জায়গা ভোগদখল করেছে। কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা হলে অবশ্যই সবার সঙ্গে আলোচনা করা হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, জমিতে বিদ্যালয়ের স্থাপনা ই নির্মান হবে।
Leave a Reply