নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপে যারা অংশগ্রহণ করেছে তারা প্রত্যেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আমীর হোসেন আমু।
রোববার (৩১ জুলাই) ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিকেল ৩টায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসে ইসি। সংলাপে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ১২ সদস্যদের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
আমু বলেন, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব সবাই কিন্তু নির্বাচনে থাকে। যখন যাকে প্রয়োজন হয় তখন তাকে কাজে লাগানো হয়। আমি বলতে পারি যারা আপনাদের সঙ্গে সংলাপে এসেছে, তারা যে পথেই হোক না কেন নির্বাচনে কিন্তু যাবে। যদিও কিছু কিছু কারণে তারা কিছু ব্যতিক্রম কথা বলেছে।
তিনি বলেন, যারা যারা নির্বাচনে আসতে চাইছে না সেটা কিন্তু তাদের চিরতরের অভ্যাস। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তাদের (বিএনপি) আহ্বানে জাতিসংঘ বাংলাদেশে এসেছিল। জাতিসংঘ তাদের সঙ্গে এবং আমাদের সঙ্গে আলাদা আলাদা বসেছিল। এরপর আমাদের দুই দলকে নিয়ে বসেছিল। কিন্তু তারা কোনো যুক্তিখণ্ডাতে পারেনি। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচনটা করতে হবে, সেটা জাতিসংঘসহ বিএনপিকে আমরা বলেছিলাম। আমরা এও বলেছিলাম যে, আপনারা যদি নির্বাচনে আসেন, তাহলে ছয় মাস পরে আমরা আরেকটা নির্বাচন করব। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় এখন নির্বাচনটা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ওই সময় প্রধানমন্ত্রী নিজে খালেদা জিয়াকে ফোন করেছিলেন। প্রথমে খালেদা জিয়া ফোন রিসিভ করেননি। সন্ধ্যার পরে ধরলেও বলেন আমরা কোনো আলোচনায় যাব না। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আপনারা যতগুলো মন্ত্রী রাখতে চান সবগুলো রাখা হবে। উনি বললেন আমার হরতাল প্রোগ্রাম আছে আলোচনায় বসতে পারব না। তারা কিন্তু অযৌক্তিকভাবে আন্দোলন করে আসছে। কমিশন নির্বাচন করবে সেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আসার দাবি তো করা যায় না। এটা অন্য বিষয়।
আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশে সেটা আর রাখা সম্ভব হয়নি। অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে সবসময়ই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। ইভিএমে কিন্তু বিভিন্ন নির্বাচন করা হচ্ছে। ইভিএমে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এটা আমার জানা নেই। এখন তারা ইভিএমের ত্রুটি কীভাবে প্রমাণ করবে। এতোগুলো নির্বাচন হলো এবং নির্বাচনে তাদের কোনো অভিযোগও নেই। তারাও কিন্তু ইভিএমের নির্বাচনে সব জায়গায় অংশগ্রহণ করছে। সুতরাং এই কথাগুলো বলে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে বিএনপি।
ইসি যেভাবে নির্বাচন করবে আমরা সেভাবে সহযোগিতা করব বলেও জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আমীর হোসেন আমু।
ইসির সংলাপে আওয়ামী লীগের যারা অংশ নিয়েছেন
সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপপু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন নাহার।
Leave a Reply