এ বিষয়ে সোমবার (২২ আগস্ট) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বিএম আমিন উল্লাহ নুরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সোমবার (২২ই আগস্ট) একটি বেসরকারী টেলিভিশনের (যমুনা টেলিভিশন) সংবাদে দেখা যায় যে, নির্বাহী প্রকৌশলী সড়ক বিভাগ, গাজীপুরের নামে রেজিষ্ট্রেশনকৃত গাড়ি (ঢাকামেট্টো-ঘ-১১-২৮৪৫)-তে ১৩১ বোতল ফেনসিডিল বহকালে গত ১৯ আগস্ট শুক্রবার কুমিল্লা জেলায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তৃক আটক হয়। আটককৃত গাড়িটি মোসা. ফেরদৌসী বেগম, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, গাজীপুর সড়ক উপ-বিভাগ সরকারি বাহন হিসেবে ব্যবহার করেন। অনুমতি ব্যতীত জেলার বাইরে গাড়ি চালানোর বিষয়টি এ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি। নির্বাহী প্রকৌশলী গাজীপুর এর নিকট টেলিফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করেন। এতে প্রতিয়মান হয়, মোসা. ফেরদৌসী বেগম উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, গাজীপুর এ ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছেন। যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ২ (খ) অনুযায়ী অসদাচরণের সামিল। তদন্ত শেষে প্রমাণিত হলে ৩(খ) ও ৪ (৩) অনুযায়ী গুরুদণ্ড আরোপযোগ্য।
২নং কলামে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (শঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ১২ (১) এর বিধি মোতাবেক জনাব মোসা. ফেরদৌসী বেগম (৩৫০০১৫) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব), সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, সড়ক উপ-বিভাগ, গাজীপুরকে চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হল। সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে প্রচলিত বিধি মোতাবেক তিনি খোরাকি ভাতা প্রাপ্য হবেন বলে চিঠিতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও একই দিন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ শের মাহমুদ মুরাদ স্বাক্ষরিত একটি পত্রে বলা হয়, কর্মস্থলের বাইরে কুমিল্লা জেলায় মাদক বহনকালে নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি গাড়ি ও তার চালক আটক হওয়ায় সংশ্লিষ্ট অফিসের প্রধান হিসেবে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালনে তিনি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। এমতাবস্থায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী কর্তব্য পালনে অবহেলা প্রদর্শণের কারণে ২ (খ) অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে কেনো তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে না-এ জন্য আগামী সাত দিনের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও একই দিন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ শের মাহমুদ মুরাদ স্বাক্ষরিত অপর একটি পত্রে বলা হয়েছে, নির্বাহী প্রকৌশলী সড়ক বিভাগ, গাজীপুরের নামে রেজিষ্ট্রেশনকৃত গাড়ি (ঢাকামেট্টো-ঘ-১১-২৮৪৫) তে ১৩১ বোতল ফেনসিডিল বহনকালে গত ১৯ আগস্ট (শুক্রবার) কুমিল্লা জেলায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তৃক আটক হয়।
গাড়িটির চালক মো. খোকন আহমেদ কুমিল্লায় সরকারি গাড়িটিতে মাদক বহনকালে আটক হন। উল্লেখিত গাড়ি চালক সরকারি কর্মচারি নন এবং শ্রমিক মজুরি কোডে নিয়োজিত আছেন। এমতাবস্থায় শ্রমিক মজুরী কোডে নিয়োজিত মো. খোকন আহমেদকে অপসারণ ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
এসব বিষয়ে কথা বলতে গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খ. মো. শরীফুল আলমের সরকারি নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
Leave a Reply