মো:রাকিব জোমাদ্দার মহিপুর (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি // কুয়াকাটায় বাদাম খাওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ সমর্থক ইউনুস খলিফা ও তার ছেলে যুবদল নেতা বাচ্চু খলিফার নেতৃত্বে কৃষক দল আহবায়কের উপর হামলা ও মারধরের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে উল্টো থানায় মামলা মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে কলাপাড়া রিপোর্টার্স ক্লাবে পৌর কৃষক দলের ৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম এ সংবাদ সম্মেলন করেছে। এসময় জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কুয়াকাটা পৌর আহবায়ক আলী হোসেন খন্দকার, পৌর শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ সভাপতি মো. জসিম মৃধা সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, কুয়াকাটা পৌর কৃষক দল সভাপতি আলী হোসেন খন্দকার ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সমর্থক ইউনুস খলিফার সাথে বাদাম খাওয়াকে ঘিরে বাকবিতন্ডায় জড়ায়। এ সময় ইউনুস খলিফা আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে এমন মন্তব্য করে। যা নিয়ে স্থানীয়ভাবে উত্তেজনার সৃষ্টি হলেও পরে বিষয়টি মিমাংসা হয়ে যায়। মিমাংসা হবার পরও আওয়ামী সমর্থক ইউনুস খলিফার ছেলে বাচ্চু খলিফার নেতৃত্বে ১০/১২ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে রোববার রাতেই কৃষক দল সভাপতির দোকানে হামলা ও লুটপাট চালায়। এ হামলায় তার ছেলে সম্রাট রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় শ্রমিক দলের নেতা জসিম মৃধা সম্রাটকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে তার উপরও হামলার করা হয়। বর্তমানে সম্রাটকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় শ্রমিক নেতারা দাবী করেন, ইউনুস খলিফা ও তার ছেলে যুবদল নেতা বাচ্চু খলিফা ওরফে কেএম বাচ্চু আওয়ামী সরকারের সময় ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। আওয়ামী সরকারের পতনের পর বাচ্চু খলিফা ও তার বাবা ইউনুস খলিফা ভোল্ট পাল্টে ফেলে। নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়ের পাশাপাশি যুবদলের নেতা পরিচয়ে যাকে খুশি তাকে অপমান অপদস্ত করছে। যা সকলেই অবগত রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো জানান, সত্য ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আওয়ামীলীগ নেতার ভিন্ন কৌশলে উদোরপিন্ডি বুদোরঘারে চাপানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত সহ গনমাধ্যম কর্মীদের ভুল তথ্য পরিবেশন করে সংবাদ প্রকাশ করেছে। যা আদৌ সত্য নয় মিথ্যা। এ হামলা ও মামলার ঘটনায় শ্রমিক দলের নেতারা তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তবে এবিষয়ে অভিযুক্ত বাচ্চু খলিফা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তার পরিবারের দাবি কৃষক দলের নেতাকর্মীদের হামলায় আহত হয় তিনি। এবিষয়ে মহিপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, মারামারির ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।