নিজস্ব প্রতিবেদক // চরমোনাই পির মুফতি সৈয়দ মুহম্মদ রেজাউল করিমের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনে ‘যোগ দিয়ে’ অস্বীকার করেছেন চাঁদপুরের দুই আওয়ামী লীগ নেতা। হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল মান্নান এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বতু এই দুই আওয়ামী লীগ নেতার যোগদানের খবর জানিয়ে শনিবার গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠায় ইসলামী আন্দোলন। তবে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানান, দল বদল করেননি। এখনও আওয়ামী লীগে আছেন। তবে আবদুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করতে পারি। ভবিষ্যতে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিতে পারি। দেখি ভবিষ্যতে কী হয়।’
ইসলামী আন্দোলনের চাঁদপুর জেলা সভাপতি শেখ মুহা. জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘গত ১৭ আগস্ট হাজীগঞ্জে ওয়াজ মাহফিল করেন চরমোনাই পির। সেখানে পিরের সামনে আবদুল মান্নান ও আনোয়ার হোসেন সদস্য ফরম পূরণ করে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দেন। সদস্য সংগ্রহকারী হিসেবে পিরের সই রয়েছে।’
আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৯১ সাল থেকে চরমোনাই পিরের মুরিদ। তবে কখনও তাঁর দলে যোগ দেননি। গত ১৭ আগস্ট তাঁকে দিয়ে সদস্য ফরমে সই করানো হয়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখনও আওয়ামী লীগ ছাড়িনি। দলও বদলও করিনি। ইসলামী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার খবর সঠিক নয়। এ খবর ছড়িয়ে বাড়াবাড়ি করছে ইসলামী আন্দোলন।’
আবদুল মান্নান ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে শাহরাস্তি মেহের ডিগ্রি কলেজ ভিপি ছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ফরমে সই করেছেন। সেই ফরম দিয়ে ইসলামী আন্দোলন কী করেছে জানেন না। আবদুল মান্নান বলেন, ‘অন্য দলে যোগ দিলে, আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।’ ভবিষ্যতে পদত্যাগ করতে পারেন বলে জানিয়েছেন।
ইসলামী আন্দোলনের চাঁদপুর জেলা সভাপতি ভাষ্য, দুই আওয়ামী লীগ নেতা চরমোনাইয়ের পিরকে সামনে পেয়ে হয়ত আবেগের বশে দলে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা ইসলামী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনতে সময় চেয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সহকারী সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম কবির সাংবাদিকদের বলেন, ‘দল বদলের কারণে হয়ত দুই আওয়ামী লীগ নেতার ওপর চাপ এসেছে। সে কারণে তাঁরা স্বীকার করছেন না।’ যোগদানের সত্যতা প্রমাণে শহিদুল কবির দুই নেতারা পূরণ করা সদস্য ফরম সংবাদমাধ্যমে পাঠিয়েছেন।
Leave a Reply