পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, ছোট ভাই রুহুল আমিন কাঁঠালিয়া গ্রামীণ ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করে গত বছর বাড়িতে আসেন। বাড়ি আসার পর থেকে এক বছর ধরে জমি নিয়ে বড় ভাই ফিরোজ আলমের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে মাঝেমধ্যে তাদের ঝগড়া হতো। এরই জেরে শুক্রবার রাতে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথার কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছোট ভাই দা দিয়ে কুপিয়ে বড় ভাইকে আহত করে। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে হামলার শিকার হন বড়ভাইয়ের স্ত্রী রানী বেগম। গুরুতর আহত অবস্থায় ফিরোজ আলমকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ফিরোজের স্ত্রী রানী বেগম বলেন, একজনকে হত্যা করে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করেও ভালো হতে পারেনি রুহুল। সে বাড়িতে আসার পর থেকেই আমার স্বামী ও আমাদের সঙ্গে ঝগড়া করতো। মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিল। ওর জমি ওকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তারপরেও আমাদের জমির দিকে নজর রয়েছে তাঁর। দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রায়ই এ নিয়ে কথার কাটাকাটি হতো। এখন আর আমার স্বামী কথা বলবে না। চির দিনের মতো তাঁর মুখ বন্ধ করে দিয়েছে রুহুল। আমি এ স্বামী হত্যার বিচার চাই।
কাঁঠালিয়া থানার ওসি মো. মুরাদ আলী বলেন, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালায়। অভিযুক্ত রুহুল আমিন ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply