নিজস্ব প্রতিবেদক।।
হিজলার ধুলখোলা ইউনিয়নে বিএনপির এক পক্ষের উপর আরেক পক্ষের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে দলীয় কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ও দোকানপাট। স্থানীয়দের মতে আধিপত্ত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার সময় ওই ইউনিয়নের আলীগঞ্জ বাজারে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে । আহত পক্ষ
ওই ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক হারুন অর রশিদ মৃধা, নাগর বেপারি ও খবির রাঢ়ী বলেন আমাদের নেতা রাজিব আহসান এর ইফতার মাহফিল সফল করা বিষয়ে মাছ বাজারে দাড়িয়ে কথা বলতেছিলাম এমন সময় রাজ্জাক সরদার ও সগির সিকদার এর লোকজন আমাদের লোকজনের উপর হামলা করেছে। ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক নাগর বেপারি বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান এর হিজলা উপজেলায় ইফতার মাহফিলে লোকজন নিয়ে যাওয়ার জন্য মানুষকে দাওয়াত দেওয়ার সময় আলীগঞ্জ বাজারের টল ঘরের সামনে আঃ রাজ্জাক সরদার ও সগীর আহম্মেদ এর ক্যাডার ফারুক রাঢ়ীসহ কয়েকজনে আমাদের উপর হামলা করে। এছাড়াও ফারুক মাঝি ও জাকির রাঢ়ীর দোকান লুট করেছে হামলাকারীরা। ধুলখোলা ইউনিয়ন মহিলা দলের সভাপতি মরিয়ম বেগম বলেন, দুই গ্রুপের আদিপত্ত্য বিস্তার নিয়ে মারামারি হয়েছে। লুৎপুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি কয়েকজনকে সাথে নিয়ে রাজিব আহসান অনুসারীদের উপর হামলা করে এবং বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিলসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে । দলের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর ছবি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর ছবি ভাংচুর করেছে হামলাকারীরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ধুলখোলা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আঃ রাজ্জাক ও সগির আহমেদ সিকদার। তাদের দাবী মারামারির ঘটনাটি তাদের সাথে হয়নি। এটি প্রতিপক্ষের অভ্যান্তরিণ দ্বন্দ্বের জেরে ঘটেছে । ধুলখোলা ইউনিয়নের আলীগঞ্জ বাজারে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইট মারামারিতে আতংক ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাজারে। বাজারে ভাঙ্গা ইটের স্তুপ জমে গেছে। একে অপরের মধ্যে ইট মারামারি হয় ব্যাপক। আঃ রাজ্জাক সরদার ও সগির আহমেদ সিকদার হিজলা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আঃ গাফফার তালুকদার এর অনুসারী এবং হারুন অর রশিদ মৃধা, খবির রাঢ়ী ও নাগর বেপারি হিজলা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাডঃ দেওয়ান মোহাম্মদ মনির হোসাইন এর অনুসারী। আহতরা হলেন হিজলা থানা শ্রমিকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউনুস চৌকিদার (৪৪),বরিশাল উত্তর জেলা মৎস্যজীবি দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাঢ়ী (৩৫), ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হোসেন রাঢ়ী (২৫), ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক রাঢ়ী (৫০), সোহাগ রাঢ়ী (২৩), মনির জমদ্দার (২৮), দুলাল রাঢ়ী (৪০), রিয়াজ রাঢ়ী (২৫), শাকিল হোসেন (২১), ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক রশিদ আকন (৬০), স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী মনির হোসেন রাড়ী (৩৫), ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক ফারুক মাঝি (৬০)। এসময় দুই পক্ষেরই পার্টির অফিসসহ ৭-৮টি দোকানপাট ভাংচুর করা হয়েছে। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে ওই রাতেই হিজলা থানা পুলিশ মোতায়ন করা হয়। হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের বলেন, মারামারির সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই বিষয়ে কোন পক্ষই অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।