ডেক্স রিপোর্ট // দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ রকমের সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সড়ক বিভাগ। তাৎক্ষণিক সড়ক প্রশস্ত করা না গেলেও সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বড় ধরনের অভিযান শুরু হচ্ছে সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে। এ কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে ৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন। রোববার সকালে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন ও সড়ক বিভাগের যৌথ অভিযান পরিচালিত হবে।
আমরা চাইছি নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়ন করতে। সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন স্থানে দখলদাররা স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। এতে করে নির্বিঘ্নে যান চলাচল ব্যহত হচ্ছে। দুর্ঘটনাও ঘটছে। তাই সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী, নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।
তিনি বলেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা এবং সরকারি সম্পত্তি দখলমুক্ত করতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে। সড়ক ও জনপথের জমির সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত শুক্রবার থেকে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে যেন স্থাপনা সৃষ্টিকারীরা নিজেরা তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেন। এরপরও যারা নির্দেশনা অমান্য করবেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, সোমবার থেকে মাঠ পর্যায়ে অভিযান শুরু হবে। প্রথম দিনে আমতলার মোড় থেকে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের দপদপিয়ার পুরোনো ফেরিঘাট এবং বরিশাল-ঝালকাঠি আঞ্চলিক সড়কের কালিজিরা ব্রিজ পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চলবে। বরিশাল-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের পাশে সড়ক বিভাগের জমি চিহ্নিতকরণ প্রায় শেষ। এরপর সেখানেও অভিযান পরিচালিত হবে।
সড়ক বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকা-বরিশাল জাতীয় মহাসড়কের ভুরঘাটা থেকে বরিশাল নগরীর আমতলার মোড়, বরিশাল-কুয়াকাটা আঞ্চলিক সড়কের আমতলার মোড় থেকে বাকেরগঞ্জ এবং বরিশাল-ঝালকাঠি আঞ্চলিক সড়কের দুই পাশে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে।
স্থানীয় প্রভাবশালীরা সরকারি জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দিয়ে অর্থ আয় করছেন। দীর্ঘ দিন এমন অবস্থায় থাকলেও পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরে দক্ষিণাঞ্চলে যানবাহনের চাপ কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। সড়ক প্রশস্ত না থাকায় দুর্ঘটনাও বেড়েছে উদ্বেগজনকভাবে। এই অবস্থায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সড়কে গাড়ি চলাচল সহজ করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
Leave a Reply