নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতি বিলুপ্ত ঘোষনা করে বিধিমোতাবেক নতুন নামকরণ করা হয়েছে। গত ২৪/১১/২৪ তারিখে ব্যবসায়িক এ সংগঠনের সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এরপর বিধি অনুযায়ী জয়েন্ট স্টক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়ে সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। প্রতিষ্ঠানটির নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘বরিশাল সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ। সংগঠন থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিও প্রদান করা হয়েছে। গত ২০/০১/২৫ তারিখে প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গ্রুপের দপ্তর সম্পাদক মো: সমির হোসেন।
সেখানে উল্লেখ রয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জয়েন্ট স্টক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রাপ্ত লাইসেন্সের প্রেক্ষিতে বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতি বিলুপ্ত ঘোষনা করে বরিশাল সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে । বরিশাল (দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয়) সড়ক পরিবহন সেক্টরে ‘বরিশাল সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ’ (ইনকর্পোরেশন নং-৩৪৩ (৩১)/৯৪, টি.ও লাইসেন্স নং-৪৯/৯৪) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদশে সরকারের জয়েন্ট স্টক ও বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রাপ্ত একটি বৈধ সংগঠনও বটে।
সংগঠনটি বিগত ১৯৯৪ ইং সন থেকে অনুমোদন প্রাপ্ত হয়ে যথারীতি এতদাঞ্চলের পরবিহন সেক্টরের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে যাত্রী সেবাদান সহ সুষ্ঠভাবে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সেক্ষেত্রে বিগত ২৪/১১/২৪ তারিখের সংগঠনের সাধারণ সভার সিদ্ধান্তক্রমে অদ্য থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জয়েন্ট স্টক ও বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রাপ্ত লাইসেন্সের প্রেক্ষিতে বর্তমান ‘বরিশাল সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ” নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করায় বরিশাল সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাথে নিম্নে বর্ণিত ঠিকানায় অফিসিয়ালি যোগাযোগসহ যেকোন প্রকার যোগাযোগের জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের দপ্তর সম্পাদক। বর্তমান নাম ও ঠিকানা, বরিশাল সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ, আল-নসিব ম্যানসন (৩য় তলা) পটুয়াখালী সড়ক (লিলি পেট্রোলে পাম্প সংলগ্ন) রুপাতলী, বরিশাল।
এদিকে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারি আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয় প্রতিষ্ঠানটিতে। অধিকাংশ শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ পলাতক থাকায় বিঘ্ন ঘটে সব কার্যক্রমে। এমন ক্রান্তিলগ্নে প্রতিষ্ঠানের সব বাস মালিক সদস্যদের অনুরোধে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক মো: জিয়াউদ্দিন সিকদার । সব বাস মালিকদের দীর্ঘ অনুরোধে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করে ফিরিয়ে আনেন শৃঙ্খলা। প্রথমেই রুপাতলী এলাকাকে চাঁদামুক্ত ঘোষণা করেন। প্রতিষ্ঠানে স্বরুপে ফিরে শুরু হয় কার্যক্রম। ইতিবাচক সব কার্যক্রম বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ব্যবসায় ফিরে চাঞ্চল্যতা। মালিকরা ব্যবসায় লাভের মুখ দেখতে পান।
এছাড়া আওয়ামী লীগের দীর্ঘ সময়ের জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হয়ে বাস মালিক সদস্যদের মাঝেও সস্তি ফিরে। এদিকে চাঁদামুক্ত ও ইতিবাচক সব কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ক্রমেই উন্নীতের দিকে অগ্রসর হওয়ায় অসাধু ফায়দা লুটতে ব্যর্থ হয়ে একেরপর এক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। যদিও অসাধু ঐ মহলটির অপ-তৎপরতা সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে স্পষ্ট হওয়ায় বাস মালিকদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে থাকায় তা বারংবার নস্যাৎ-ই হয়েছে।