ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার গভীর রাতে। নিহতরা হলেন- মনিরুজ্জামান (৫২) ও তার স্ত্রী রেহেনা খাতুন (৪৫)। মনিরুজ্জামান স্থানীয় এক দিনমজুর ছিলেন, আর রেহেনা একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মেয়ে। তাদের দুই সন্তান রয়েছে—মাসুক (২০) ও মনিরা (১৮), যার মধ্যে মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেছে।
শনিবার (১৪ জুন) সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ বাড়ির উঠানের আমড়াগাছ থেকে মনিরুজ্জামানের ঝুলন্ত মরদেহ ও বাড়ির পেছনের একটি মাঠ থেকে রেহেনা খাতুনের নিথর দেহ উদ্ধার করে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন।
তবে নিহতের স্বজনরা এ বক্তব্য মানতে নারাজ। মনিরুজ্জামানের বোন জামাই সাদেক আলি জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সবাই একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমাতে যান। রাতে কোনো ঝগড়াঝাঁটি হয়নি। গভীর রাতে ভাই-ভাবীকে না পেয়ে ধারণা করেছিলেন, তারা গরমের কারণে প্রতিবেশীর বাড়িতে ঘুমাতে গেছেন। কিন্তু সকালে বাড়ির উঠানে ও পাশের মাঠে মরদেহ দেখতে পান।
রঘুনাথপুর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জানান, মনিরুজ্জামান দিনমজুরের পাশাপাশি মানুষের সাহায্য-সহযোগিতায় সংসার চালাতেন। অভাবের কারণে দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া বলেন, “দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি আত্মহত্যা না কি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, তা নিশ্চিত হতে তদন্ত চলছে।