বিতর্কিত নতুন কমিটি ঘোষণা করার অভিযোগ এনে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের একাংশের কিছু নেতাকর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে এ প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।
এ সময় ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা বলেন, ফরিদপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি সোহান ও সাধারণ সম্পাদক রানা বিবাহিত। এ ছাড়া সভাপতির এক বছরের একটি মেয়ে ও সাধারণ সম্পাদকের চার বছরের একটা ছেলে রয়েছে। যা ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী। তাই অবিলম্বে এ কমিটির বাতিল করা হোক।
প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি সাদিকুর রহমান সবুজ, জেলা ছাত্রলীগের আরেক সহসভাপতি অমিয় সরকার, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিজন মোল্যা, সদ্য বিলুপ্ত ঘোষণা করা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান বিপ্লব, সরকারি ইয়াসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমান সুপ্তসহ আরও অনেকে।
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ৫’এর (গ) ধারায় আছে, বিবাহিত ব্যক্তি ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পাবেন না। এরপরও ফরিদপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটিতে স্থান পেয়েছেন বিবাহিতরা। এমনটাই অভিযোগ ছাত্রলীগের একাংশের কিছু নেতাকর্মীদের। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এর আগে ২৬ জুলাই জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান ও সাধারণ সম্পাদক মো. ফাহিম আহামেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ফরিদপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির মেয়াদ দেওয়া হয়েছে এক বছর।
জেলা ও পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর একাংশের দাবি, নবগঠিত ফরিদপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি শাহীন আহমেদ সোহানের স্ত্রীর নাম জেনিমি সুরাত জেনি (বিথী)। তার শ্বশুরবাড়ি ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর এলাকায়। তার এক বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে নতুন সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি শাহীন আহমেদ সোহান বলেন, ‘আমার নামে ষড়যন্ত্র চলছে। আমি তো বিবাহিতই না, আর বাচ্চা থাকবে কীভাবে। এগুলো আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে পদবঞ্চিত একটি গ্রুপ। প্রত্যেকটি বিয়ের নিবন্ধন থাকে। এগুলো যাচাই না করেই মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’
অন্যদিকে, একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক রানাও বিবাহিত বলে অভিযোগ উঠেছে। তার স্ত্রীর নাম আম্বিয়া। তার শ্বশুরবাড়িও ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর এলাকায়। তার চার বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
এ বিষয়ে নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রানা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, ‘আমি বিবাহিত। তবে যারা অভিযোগ তুলেছেন, তারা প্রমাণ করুক। প্রমাণ দিতে পারলে আমি অব্যাহতি নেব।
Leave a Reply