নিজস্ব প্রতিবেদক // তিনদিনেও জানা সম্ভব হয়নি কেন পাতিহাঁস কালো রঙের ডিম পাড়ছে। কালো ডিম নিয়ে কৌতূহলের যেন শেষ নেই। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে দাসকান্দি এলাকার আবদুল মান্নান রাঢ়ী বাড়ির সৌদি প্রবাসী আব্দুল মতিনের স্ত্রী তাসলিমা বেগম ঘরোয়াভাবে ১১টি পাতিহাঁস পালন করেন।
এর মধ্যে রয়েছে একটি হাঁসের বয়স নয় মাস। বাকি হাঁসগুলো ছয়-সাত মাস বয়সী। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে বড় হাঁসটি প্রথমবার একটি কালো ডিম পাড়ে। এ নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এর পরদিন বৃহস্পতিবারও কালো ডিম পাড়ে হাঁসটি।
হাঁসের মালিক তাসলিমার স্বামী আবদুল মতিন জানান, আট মাস আগে স্থানীয় ফেরিওয়ালার কাছ থেকে ১৭টি হাঁসের বাচ্চা কিনেছিলেন। এরপর ছয়টি বাচ্চা মারা যায়। বাকি ১১টি হাঁস লালন পালন করেন তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম। সবগুলো হাঁসেরই খাবার ও চলাফেরা এক।
গত বুধবার (২১ সেপ্টম্বর) সকালে হাঁসের ঘরে (খোপ) গিয়ে দেখেন একটি কালো রঙের ডিম পেড়েছে হাঁসটি। একইভাবে বৃহস্পতিবার আরেকটি ডিম পাড়ে হাঁসটি। তবে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত হাঁসটি ডিম পাড়েনি।
শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের লোকজন দ্বিতীয় দিনের মতো ওই বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন। এদিকে কালো ডিমের খবর ছড়িয়ে পড়ায় কাছে-দূরের অনেকে ভিড় করছেন তাসলিমার বাড়িতে।
ডিম দেখতে আসা শিমুল বলেন, বিষয়টি আমার কাছে রূপকথার গল্পের মতোই মনে হচ্ছে। তাই এক নজর দেখতে এলাম। খুব ভালো লাগছে। আবু সিদ্দিক নামে এক দর্শনার্থী বলেন, কি কারণে এমনটা ঘটছে, তা দ্রুত পরীক্ষা করে বের করা উচিত।
এ বিষয়ে ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছি। এক সপ্তাহ ধরে পর্যবেক্ষণ করব। তারপর ডিমগুলো পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে।
তবে প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হচ্ছে, অন্য কোনো জাতের সঙ্গে ক্রস হওয়ায় বা ইনফেকশন থেকে এমন হয়েছে। তবে খাদ্যের সঙ্গে হাঁস যদি রঙ খেয়ে ফেলে, তাহলেও এমনটি হতে পারে। পরীক্ষা ছাড়া আপাতত কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে হাঁসের কালো ডিম পাড়ার ঘটনা বাংলাদেশে এটিই প্রথম।
Leave a Reply