নিহতরা হলেন, ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের ভিপি মুরাদ বিশ্বাস, ছাত্রলীগ কর্মী ও ভেটেরিনারি কলেজের শিক্ষার্থী তৌহিদ ও সমরেশ হোসেন ছমির।
পুলিশ ও বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ঘোষপাড়ায় অবস্থিত জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্কে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সমঝোতা বৈঠক চলছিল।
বৈঠক শেষে ভেটেরিনারি কলেজের জিএস সজিব মোটরসাইকেল নিয়ে বের হলে ছাত্রলীগের আরেকটি গ্রুপ সজিবকে কুপিয়ে জখম করে। পরে ঝিনাইদহ সদর থানার পুলিশ তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়।
এরপর ভেটেরিনারি কলেজের ভিপি মুরাদ বিশ্বাসসহ ছাত্রলীগের তিন কর্মী একই মোটরসাইকেলে বের হলে চলন্ত অবস্থায় তাদের উপরও আক্রমণ করা হয়। তারা দ্রুত মোটরসাইকেল চালিয়ে ১৮ মাইল নামক স্থানে পল্লী বিদ্যুতের ডিপোর সামনে পৌঁছালে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকা খুটি বোঝায় ট্রাকের সাথে ধাক্কা খায়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুশাবাড়িয়া গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে ও ভেটেরিনারী কলেজের ভিপি মুরাদ বিশ্বাস, তৌহিদুল ইসলাম ও সমরেশ হোসেন ছমির।
ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ পরিচালক শামীমুল ইসলাম জানান, নিহতদের মাথায় আঘাত লেগেছে। মোটরসাইকেল ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-ইমরান জানিয়েছেন, যে গ্রুপই হামলা করুক এটা অন্যায় ও অমানবিক হয়েছে। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের ভিপি ও জিএস তার সঙ্গেই রাজনীতি করেন, তারা অন্য গ্রুপ করেন না।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, ছাত্রলীগের এক গ্রুপের ধাওয়া ও হামলায় প্রথমে সজিব আহত হন। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এরপর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিনজনকেও একই ভাবে ধাওয়া করে। হামলা থেকে বাঁচতে গিয়ে তারা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তৌফিক হাসান জানান, নিহত তিনজনের মাথায় গুরুতর জখম রয়েছে। এছাড়া হামলায় আহত সজিবের অবস্থা ভালো আছে।
Leave a Reply