বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টার দিকে তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
এরআগে বুধবার রাত ২টার দিকে পরকীয়া প্রেমিকাসহ আটক করে ৯৯৯-এ কল করে স্থানীয়রা। পরে ফুলবাড়ী থানার প্রেমিক যুগলকে থানায় নিয়ে আসে।ওই নারীর অভিযোগ না থাকায় শিমুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল আলম মিয়া সোহেলের উপস্থিতিতে নারীকে তার মামা ও শিক্ষক নুরুজ্জামান খন্দকারকে পরিবারের জিম্মায় দেয় পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, পুর্ব ফকিরপাড়া জকুরটল এলাকার এক সন্তানের জননী ওই নারী সন্তানসহ বাড়িতে থাকেন। তার স্বামী চাকরি সুবাদে ঢাকায় থাকেন। এ সুযোগে উত্তর ঘোগারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও বড়ভিটা ইউনিয়নের ঘোঘারকুটি গ্রামের আফতাব উদ্দিন খন্দকারের ছেলে দুই সন্তানের জনক নুরুজ্জামান খন্দকারের সঙ্গে ওই নারীর পরকীয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মেলামেশা চলছে।
বুধবার রাত দুইটার দিকে ওই নারীর ঘর থেকে দু’জনকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে ৯৯৯- এ কল করে স্থানীয়রা।পরে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষক ও নারীকে থানা নিয়ে এসে হেফাজতে নেয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন বলেন, শিক্ষক নুরুজ্জামান এর আগেও এমন ঘটনায় জরিমানা দিয়ে ছাড়া পেয়েছিলেন।এবারও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সবাইকে ম্যানেজ করে পার পেয়ে গেলেন। ওই শিক্ষককের বিরুদ্ধে শিক্ষা দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করার কথাও বলেন এলাকাবাসী।
শিমুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল আলম মিয়া সোহেল জানান, ভিকটিমের অভিযোগ না থাকায় তাকে তার মামার জিম্মায় এবং শিক্ষককে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে কোনো লেনদেন হয়েছে কিনা তা জানা নাই তার।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুর রহমান (ওসি) জানান, ভিকটিমের কোনো অভিযোগ না থাকায় পুলিশ হেফাজতে থাকা শিক্ষক ও নারীকে পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে আমার অফিসার। ভিকটিমকে বারবার বলা হয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকায় তিনি অভিযোগ করতে চাননি। পরে তাদের পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। এরপরও যদি তিনি অভিযোগ করেন আমরা সেটা আমলে নেবো।
Leave a Reply