ভারতের আসামের গণমাধ্যম অসমীয়া প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনুপ চেটিয়া বলেন, ‘ঢাকার ধানমন্ডির মাস্টার মাইন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়ার সময় তাদের দু’জনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ কারণে আমরা বিয়েতে মত দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ২৮ বছর বাংলাদেশে অবস্থান করেছি। মানুষের আতিথিয়তা, ভালোবাসা পেয়েছি। এ জন্য বাংলাদেশের মানুষের প্রতি দুর্বলতা কাজ করে। সেটাও এই বিয়েতে রাজি হওয়ার একটা কারণ।’
বাংলাদেশে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা-এমন প্রশ্নের উত্তরে উলফার শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে যখন ছিলাম তখন লুকিয়ে পরিচয় গোপন করে ছিলাম। বাকি সময় জেলে ছিলাম। এবার বৈধভাবে সবাইকে জানিয়ে যেতে চাই। কিন্তু আমার যাওয়া ভারত ও বাংলাদেশ সরকার কেউই ভালোভাবে দেখবে না। তবে আত্মীয়তা হয়ে গেলে একবার যাবো। সেখানে অনেক বন্ধু রয়েছে, তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের ভীষণ ইচ্ছা আছে।’
উলফার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়া ওরফে গোলাপ বড়ুয়া ১৯৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার আদাবর এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান এবং অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা ও একটি স্যাটেলাইট ফোন রাখার অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। বাংলাদেশের আদালত তিনটি মামলায় তাকে যথাক্রমে তিন, চার ও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একসঙ্গে তিন মামলার সাজা কার্যকর হওয়ায় সাত বছর পরই ২০০৪ সালে তার সাজার মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু তারপর থেকে তিনি কারাগারে আটক ছিলেন।
২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি উলফার আলোচনাপন্থী দলের প্রধান হিসেবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আরেকটি অংশ উলফা-স্বাধীনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পরেশ বড়ুয়া। যিনি বর্তমানে চেয়ারপারসন ও কমান্ডার ইন চিফ হিসেবে সশস্ত্র আন্দোলন করছেন।
Leave a Reply