মৃত রহমত আলী উপজেলা সদর ইউনিয়নের বীরনগর গ্রামের ফজুর রহমানের ছেলে। অভিযুক্ত কিবরিয়া একই গ্রামের বাসিন্দা মগুল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনার পর কিবরিয়া ও হোসাইনকে আটক করেছে গ্রামবাসী।
স্থানীয়রা জানান, রহমত আলীর সঙ্গে কিবরিয়ার বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধ ছিল। আজ সকালে বাড়ির সামনে বন (উজাউরি বন) কাটা নিয়ে রহমত আলী কিবরিয়াকে নিষেধ করেন। তখন দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এসময় বাড়ির অন্য লোকজন বাধা দিলে রহতম আলী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় এলাকাবাসীরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছোট ভাই আলী মর্তুজা বলেন, ‘বাড়ির সীমানা নিয়ে গত ১৫ বছর ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল। বিচার সালিস করে সীমানা নির্ধারণ করে দিলেও সমাধান হয়নি। এর জের ধরে আজ এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মির্জা রিয়াদ হাসান জানান, ‘হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই রহমত আলীর মৃত্যু হয়েছে। কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বলতে পারবো।’
তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এখনো পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply