মালদ্বীপকে উড়িয়ে দেওয়ার নায়ক মিরাজুল ইসলাম। তার হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি দুটি গোল এসেছে নাজমুল হুদা ফয়সাল ও মুর্শেদ আলির মাধ্যমে। সেমিতে বাংলাদেশ তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে ‘বি’ গ্রুপের রানার্স-আপ দলকে। আর এই গ্রুপে লড়ছে ভারত, ভুটান ও নেপাল।কলম্বোয় ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই লিড নেয় পল স্মলির শিষ্যরা। বাঁ প্রান্ত ধরে দুর্দান্তভাবে বল কাটিয়ে নিয়ে সরাসরি মালদ্বীপের ডি-বক্সে ঢুকে পড়ে মিরাজুল। সেখান থেকে কাটব্যাকে বল পেয়ে জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়ে দলকে লিড এনে দেন ফয়সাল।
৩৭তম মিনিট ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মুর্শেদ আলী। মাঝমাঠ থেকে চন্দন রায়ের লম্বা পাসে মালদ্বীপের এক ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে লক্ষ্যভেদ করেন মুর্শেদ। আর এর ফলে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বেশ কিছু আক্রমণ চালালেও গোলের দেখা পেতে ৭৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় বাংলাদেশকে। ফয়সালের বাড়ানো পাসে ডান কোণা থেকে নেয়া শটে ব্যবধান ৩-০ করেন মিরাজুল। তিন মিনিট বাদে ফের মালদ্বীপের জালে আঘাত হানেন মিরাজুল। এরপর যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করে টাইগার এই ফরোয়ার্ড। আর তাতেই বড় জয় নিশ্চিত করে প্রথম দল হিসেবে সেমি ফাইনাল নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। মিরাজের কৃতিত্বে সন্তুষ্ট ঝালকাঠির ক্রীড়াঙ্গনসহ ক্রীড়া ও দেশপ্রেমী সচেতন মহল।
ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খান ধলু বলেন, বিদেশের মাটিতে খেলোয়াড় হিসেবে তার অবদানে আমরা গর্বিত। সে ক্রীড়াঙ্গনে এখন প্রেরণার উৎস্য। আমরা তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।
তিনি আরো বলেন, ভারতের ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব ২০ ফুটবলে মিরাজুলের হ্যাটট্রিকে পাত্তাই পায়নি মালদ্বীপ। বাংলাদেশ মালদ্বীপকে ৪-০ গোলে পরাজিত করে। এর তিনটি গোলই করেছে মিরাজুল ইসলাম। শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত ১ গোলে বাংলাদেশকে জয় এনে দেয় মিরাজুল।
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপির ছাত্র মিরাজুল ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ওস্তাখান গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। তার বাবার থানা সড়কে একটি ভাতের হোটেল ছিল। তারা এক সময় শহরের সিটি পার্ক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো। সে সময় ঝালকাঠি নুরুন্নবী ফুটবল একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেয় মিরাজুল।
Leave a Reply