,লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে অবশেষে সেই গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার মামলাটি অবশেষে নথিভুক্ত করেছে পুলিশ।
সেই সাথে অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দৈ্নিক ও অনলাইন পোটালে সংবাদ প্রকাশের পর গতকাল মঙ্গলবার রাতে আদিতমারী থানা-পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তার আশরাফুল ইসলাম উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের মরিচবাড়ি গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।
অভিযোগে জানা গেছে, আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের মরিচবাড়ি গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩৫) প্রতিবেশী এক গৃহবধূকে (২৩) মোবাইল ফোনে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। ওই গৃহবধূ বারবার নিষেধ করলে আশরাফুল আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। গত ৫ মে পরিবারের সবাই বাইরে কাজে থাকায় বাড়িতে একা ছিলেন সেই গৃহবধূ। এ সুযোগে জোরপূর্বক তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন আশরাফুল।
পরিবারের লোকজন বাড়ি ফিরলে বিষয়টি তাঁদের জানান ভুক্তভোগী সেই গৃহবধূ। ওই গৃহবধূর আত্মসম্মানের ভয়ে প্রথমে আশরাফুলের পরিবারকে জানিয়ে বিচার দাবি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আশরাফুল ও তাঁর স্ত্রী ওই গৃহবধূ এবং তাঁর পরিবারের ওপর হামলা করেন। অবশেষে নিরুপায় হয়ে ঘটনার বিচার চেয়ে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ।
অভিযোগটি আমলে নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তদন্তে যায় পুলিশ। অভিযুক্ত আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করে মামলা দ্রুত নথিভুক্ত করার আশ্বাস দিলেও কার্যত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অভিযোগের এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও আইনি কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় বাদী গণমাধ্যমের সহায়তা কামনা করেন।
এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ‘গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার মামলা নেয়নি পুলিশ, ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার অভিযোগ’ শিরোনামে কয়েকটি অনলাইন পোটাল ও পত্রিকার প্রিন্ট ভার্সনে ‘ খবর প্রকাশিত হলে টনক নড়ে পুলিশের। অবশেষে গতকাল রাতে মামলা নথিভুক্ত দেখিয়ে অভিযুক্ত আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আকবর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘বাদী ভুল বোঝার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মামলাটি গ্রহণ করে অভিযুক্ত আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।